Pages

Friday, December 25, 2020

কম্পিউটার-এর বিবর্তন (Evolution of Computer)

কম্পিউটার-এর বিবর্তনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ছকের সাহায্যে দেওয়া হল:-

যন্ত্রের নাম আবিষ্কারের সময়কাল আবিষ্কারকের নাম যন্ত্রগুলির বৈশিষ্ট্য
অ্যাবাকাস (Abacus) 5000 বছর পূর্বে চীন দেশে অজানা অ্যাবাকাস হল পৃথিবীর প্রথম গণক যন্ত্র।
ধাতু বা কাঠের ফ্রেমের ভিতর কয়েক সারি তার থাকে। এই তারের মধ্যে কিছু পুঁতি থাকে।
হাতের সাহায্যে পুঁতিগুলিকে উপরে নীচে সরিয়ে সাধারণ যোগ-বিয়োগ করা হয়।
চীন দেশে এই যন্ত্রের প্রথম ব্যবহার দেখা যায়।
জাপানে এর নাম দেওয়া হয় "সরোব্যান"
নেপিয়ারস্ বোন (Napier's Bone) 1617 খ্রীষ্টাব্দ জন নেপিয়ার এটি একটি হস্তচালিত যন্ত্র।
এই যন্ত্রটিতে 10 টি রেখাঙ্কিত দন্ড থাকে।
এই দন্ডগুলির সাহায্যে যোগ-বিয়োগ ছাড়াও দুটি বড় সংখ্যার গুণও করা যেত।
ওট্রেডের স্লাইড রুল (Oughtred's Slide Rule) 1632 খ্রীষ্টাব্দ উইলিয়াম ওট্রেড গুণ ও ভাগ করা যেত।
পাসকালিন (Pascaline) 1642 খ্রীষ্টাব্দ ব্লেস পাসকাল এই গণকযন্ত্রটি ছোট ছোট কিছু চাকার সাহায্যে তৈরি।
এই গণকযন্ত্রটিতে চার সারির যোগ ছাড়াও বিয়োগ, গুণ,ও ভাগ করা যেত।
এই যন্ত্রটিকেই প্রথম ক্যালকুলেটর হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়।
স্টেপড রেকনার (Stepped Reckoner) 1671 খ্রীষ্টাব্দ গডফ্রে লেবনিজ এটিই প্রথম মেকানিক্যাল ক্যালকুলেটর।
পাসকালিন যন্ত্রের ব্যাপক উন্নতি সাধন করে এই যন্ত্রটি তৈরি করা হয়।
এই যন্ত্রটির সাহায্যে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ ছাড়াও বর্গমূল করা যায়।
জ্যাকোয়ার্ডের তাঁত (Jacquard's Loom) 1801 খ্রীষ্টাব্দ জোসেফ মেরি জ্যাকোয়ার্ড ছিদ্রযুক্ত কার্ড (পাঞ্চকার্ড) এর প্রথম ব্যবহার
ডিফারেন্সিয়াল ইঞ্জিন (Differential Engine) 1822 খ্রীষ্টাব্দ চার্লস ব্যাবেজ এই যন্ত্রটিই প্রথম তথ্য সঞ্চয় করার ধারনা দেয়।
যন্ত্রটির সাহায্যে বর্গ ও বর্গমূল করা যেত।
এই যন্ত্রটির একসাথে অনেকগুলি কাজ করার ক্ষমতা ছিল।
অ্য়ানালিটিক্য়াল ইঞ্জিন (Analytical Engine) 1833 খ্রীষ্টাব্দ চার্লস ব্যাবেজ এই যন্ত্রটির সাহায্যে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, বর্গমূল করা যায়।
এই যন্ত্রটিতেই প্রথম Input → Process → Output ধারনাটি প্রয়োগ করা হয়েছিল।
যন্ত্রটিতে এসেম্বলি ভাযায় প্রোগ্রাম করার ব্যবস্থা ছিল এবং সফটওয়্যার ব্যবহার করার সুবিধা ছিল।
হলেরিথস্ ট্যাবুলেটর (Holarith's Tabulator) 1890 খ্রীষ্টাব্দ হারম্যান হলেরিথস এটি একটি ছিদ্রযুক্ত কার্ড (পাঞ্চকার্ড) যা আমেরিকার জনগণনার কাজে ব্যবহৃত হয়।
এর সাহায্য়ে তথ্য সংরক্ষণ ও সরবরাহ করা হয়।
এই যন্ত্রটি ছিল স্বয়ংক্রিয়।
মার্ক - I (MARK-I) 1944 খ্রীষ্টাব্দ হাওয়ার্ড আইকেন চার্লস ব্যাবেজের পরবর্তীকালে এটিই প্রথম স্বয়ংক্রিয় ইলেকট্রনিক মেকানিক্যাল কম্পিউটার।
পাঞ্চকার্ড প্রযুক্তি অনুসরণ করে এটিকে তৈরি করা হয়েছিল।
এই যন্ত্রটিতে 3000 টি স্যুইচ ছিল এবং গাণিতিক কাজের দ্রুত সমাধান এর দ্বারা সম্ভব হয়েছিল।
এনিয়াক (ENIAC) 1946 খ্রীষ্টাব্দ জে.পি.একার্ট ও জন মকলে এটি আকারে বিশাল ছিল।
যন্ত্রটি সেকেন্ডের ভগ্নাংশ অর্থাৎ মাইক্রো সেকেন্ডে দুটি সংখ্যার যোগ করতে পারত।
যন্ত্রটি সেকেন্ডে 5000 যোগ বা বিয়োগ নির্ণয় করতে পারতো।
ইউনিভ্যাক-১ (UNIVAC-1) 1951 খ্রীষ্টাব্দ জে.পি.একার্ট ও জন মকলে UNIVAC-1 প্রথম ইলেকট্রনিক ডিজিটাল কম্পিউটার হিসাবে পরিগণিত হয়।
পরবর্তীকালে বাণিজ্যিক ও প্রশাসনিক কাজে এই কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।
এডভ্যাক (EDVAC) 1952 খ্রীষ্টাব্দ জন ভন নিউম্যান এই কম্পিউটারেই সর্বপ্রথম বাইনারি গণিতের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
সঞ্চিত প্রোগ্রামের ধারণা (Stored Program Concept) উদ্ভাবন।
IBM-650(EDVAC) 1964 খ্রীষ্টাব্দ IBM Co. কম্পিউটারের বাণিজ্যিক ক্ষেত্রের সূচনা।
Microprocessor 1971 খ্রীষ্টাব্দ BUSI COM-এর বিজ্ঞানীদল মাইক্রোপ্রসেসর আবিষ্কারের ফলে পোর্টেবল সিস্টেমের ক্রমবিকাশ।

Thursday, December 24, 2020

কম্পিউটারের কর্মক্ষমতা তথা গুণ এবং সীমাবদ্ধতা (Capabilities and Limitation of a Computer)


কর্মক্ষমতা / গুণ / বৈশিষ্ট্য ( Features of Computer)

1. গতি (Speed) - আমরা জানি যে কম্পিউটারের সাহায্যে অনেক জটিল গণনা করা সম্ভব। তবে কিছু কিছু গণনার ক্ষেত্রে সময়ের বিশেষ ভূমিকা থাকে। হিসেব নিকেশ বা তথ্য বিশ্লেষণ সংক্রান্ত যে-কোন কাজই মানুষের চাইতে কম্পিউটার দ্রুত গতিতে করতে পারে। কাজ করার এই গতি MIPS (Million Instructions Per Second) এককে পরিমাপ করা হয়, অর্থাৎ কম্পিউটার কোন জটিল গণনার কাজ এক সেকেন্ডের এক লক্ষ ভাগের এক ভাগ সময়ে সম্পন্ন করতে পারে।
2. স্বয়ংক্রিয়তা (Automation)- সমস্ত ইলেকট্রনিক যন্ত্রের মত কম্পিউটারও স্বয়ংক্রিয়। ব্যবহারকারী সঠিক নির্দেশ (Instruction/ Input) দিলে এটি সব কাজই স্বয়ংক্রিয় ভাবে পর পর করে যেতে পারে।
3. নির্ভুলতা (Accuracy) -  মানুষ যন্ত্র ছাড়া দ্রুত গণনা করার চেষ্টা করলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। অথচ কম্পিউটার শুধু দ্রুত গণনাই করে না, একেবারে নির্ভুল ফলাফল প্রদান করে যদিনা ব্যবহারকারীর নির্দেশে কিছু ভুল থাকে।
4.পুনরাবৃত্তির দক্ষতা/অধ্যবসায় (Repetitiveness or Diligence ) - একই কাজ বারবার করার জন্যে মানুষ ক্লান্ত ও বিরক্ত হয়। কম্পিউটার একই কাজ পুনঃ পুনঃ লক্ষাধিক বার করতে পারে, অতি অল্প সময়ে এবং প্রতিবার একইরকম নির্ভুল ভাবে।
5.সঞ্চয় ক্ষমতা (Storage Capacity)- কম্পিউটারের স্মৃতি (Memory) তে বিপুল পরিমাণ তথ্য ভবিষ্যতে ব্যবহার করার জন্য সঞ্চয় করে রাখা যায়।
6. বহুমুখিতা (Versatility)- কম্পিউটার উপযুক্ত প্রোগ্রামের সাহায্যে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কাজ অনায়াসে এবং দ্বিধাহীনভাবে করে চলেছে, যেমন- টাইপ করা, ছবি আঁকা, গান শোনা, গেমস্ খেলা ইত্যাদি। যা কম্পিউটারকে অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রের থেকে আলাদা করেছে।

Monday, December 21, 2020

কম্পিউটারের প্রয়োগ ক্ষেত্র (Application Area of Computer)

 বর্তমান যুগে মানব জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে ভাবে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে, তাতে করে এক কথায় বলা যায় কম্পিউটারের প্রয়োগ সর্বত্র। বর্তমানে কম্পিউটারের ব্যবহার অতি প্রয়োজনীয় এবং আবশ্যিক। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহারের কথা এখানে উল্লেখ করা হল।-

১. বিজ্ঞান ও মহাকাশ গবেষণায়-

২. শিক্ষার ক্ষেত্রে-

৩. চিকিৎসার ক্ষেত্রে-

৪. ব্যাবসায়িক ক্ষেত্রে-

৫. প্রকাশনার ক্ষেত্রে-

৬. যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থায়-

৭. প্রশাসনিক ক্ষেত্রে-

৮. চিত্ত বিনোদন -

৯. শিল্প-বাণিজ্য-অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে-

১০. আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিতে-



Image of Various Place Where Computer Used

Sunday, December 20, 2020

কম্পিউটার কী ? (What is Computer)

কম্পিউটার হল এমন একটি দ্রুতগতিসম্পন্ন ইলেকট্রনিক গণকযন্ত্র, যা ব্যাবহারকারীর (User/Liveware) দেওয়া নির্দেশগুলিকে (Input) গ্রহণ করে সেগুলিকে বিশ্লেষণ (Process) করে ফলাফল (Output) দেয়, এবং প্রয়োজনে নির্দেশ মত স্মৃতিতে (Memory) সঞ্চয় করে রাখে। 


আবার বিস্তারিত ভাবে বলতে গেলে এভাবেও বলা যায়-

"কম্পিউটার বা গণকযন্ত্র বা পরিগণক হল লক্ষাধিক ইলেকট্রনিক উপাদানে তৈরী দ্রুত গতিসম্পন্ন একটি জটিল ইলেকট্রনিক যন্ত্র (প্রকৃতপক্ষে  সিস্টেম) যা সংশ্লিষ্ট বিবিধ যন্ত্রাদির সহযোগিতায় খুব সহজে সঠিক ডাটা সঠিকভাবে পরিচালনা করে অর্থাৎ ডাটা সংগ্রহ (Collection by Input), ডাটা সংরক্ষণ এবং নির্দেশাবলী মেনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধাপে ধাপে বা ক্রমানুসারে যৌক্তিক, গাণিতিক ও অন্যান্য কর্ম সম্পাদন করে এবং প্রয়োজন মত ফলাফল (Output) দেয়।"  

 -- (প্রনব কুমার নায়ক এর বই থেকে প্রাপ্ত)

কম্পিউটার প্রধানতঃ চারটি কাজ সম্পন্ন করে যেগুলি হল - ১। তথ্য বিশ্লেষণ (Data Processing)  ২। তথ্য সঞ্চয় (Data Storing) ৩। তথ্য প্রেরণ বা আদান-প্রদান ( Data Transfer or Transmission or Movement) ৪।  নিয়ন্ত্রণ (Control)।

কম্পিউটার-এর বিবর্তন (Evolution of Computer)

কম্পিউটার-এর বিবর্তনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ছকের সাহায্যে দেওয়া হল:- যন্ত্রের নাম আবিষ্কারের সময়কাল আবিষ্কারকের নাম ...